আর তার দুঃখে শিরিও পানিতে ঝাঁপ দিয়ে
আত্দহত্যা করে। অন্যদিকে আরেকটি ফরহাদকে দেখানো হয়েছে একজন গুণী ভাস্কর
হিসেবে। তবে তার মধ্যে অহঙ্কার ছিল। তিনি বিশ্বাস করতেন তার বানানো
মূর্তির চেয়ে সুন্দর আর কিছুই হতে পারে না। কিন্তু ফরহাদের এ অহঙ্কার ভেঙে
চুর হয়ে যায় কোহে আরমান রাজ্যের রাজকন্যা শিরির হাতে অাঁকা একটি ছবি দেখে।
আর শিরিও ছিলেন অসীম সুন্দরী। শিরির রূপে পাগলপ্রায় ফরহাদ তখন একের পর
এক শিরির মূর্তি গড়তে শুরু করেন। এক দিন ফরহাদের সঙ্গে সামনাসামনি দেখাও
হয়ে যায় শিরির। কিন্তু রাজ্য আর ক্ষমতার কারণে ফরহাদের প্রেমকে অস্বীকার
করেন শিরি। কিন্তু শিরির এ প্রত্যাখ্যান ফরহাদকে নতুন করে পাগল করে তোলে।
ফলে শিরির স্মৃতি ভাস্কর হিসেবে বেসাতুন পবর্তকে গড়ে তুলতে কঠোর পরিশ্রম
শুরু করেন ফরহাদ। ফরহাদের এ পাগলামোর গল্প শুনে আর স্থির থাকতে পারলেন না
শিরি। সিংহাসনের মায়া ত্যাগ করে তিনিও ছুটে যান ফরহাদের কাছে। পরবর্তীতে
এক ভূমিকম্পে দুজনই একসঙ্গে প্রাণ হারায়।
ফরহাদ নামটিকে অনেকেই কল্পিত বললেও শিরিন ছিল সাসানিদ বংশীয় পারসিক
শাহানশাহ্ দ্বি্বতীয় খসরু পারভেজের (শাসন কাল ৫৯১- ৬২৮) স্ত্রী। তাদের
প্রেম কাহিনী স্থান পেয়েছে পারস্যের মহাকবি ফেরদৌসির শাহানামায়।