স্মৃতিশক্তি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য এবং জীবনীশক্তির
উপর নির্ভর করে। দুর্বল স্মৃতিশক্তির জন্য প্রতিদিনের কাজে আমাদের বিভিন্ন
সমস্যায় পড়তে হয়। সাধারন টুকিটাকি ‘কোথায় রেখেছি’ ‘কাকে যেন দিয়েছিলাম’
‘উনার নামটা যেন কী’ অনেকসময় হারিয়ে যায় মস্তিষ্ক থেকে।
ছোটোখাটো জিনিস কোথায় রেখেছি তা হুট করেই ভুলে যাই আমরা, এসব ছোটোখাটো
ব্যাপার অনেকসময় ঝামেলা তৈরি ঝামেলা তৈরী করে যেটা সত্যিই যন্ত্রণার।
---
পরিমিত ঘুম: প্রতিদিনের ঘুম মস্তিষ্ক সুরক্ষা রাখার
জন্য খুবই কার্যকরী। কারণ ঘুমের মধ্য মস্তিষ্ক বিশ্রাম পায়। পূর্ণবয়স্ক
মানুষের দৈনিক আট ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন। ভাল ঘুম আপনার মস্তিষ্ককে অধিক
কার্যকরী করে তোলে। ঘুমের সময় সাম্প্রতিক সময়ের তথ্যগুলোকে মস্তিষ্কসংরক্ষণ
করতে থাকে। আর ঘুমকে বলা হয় মেমোরি চার্জার। ঘুমের সময় আপনার মেমোরি
পরবর্তী স্মৃতি ধরার জন্য প্রস্তুত হয়।
মস্তিষ্কের ব্যায়াম: আপনার মস্তিষ্ককে যত বেশি কাজে
লাগাবেন, আপনার মস্তিষ্ক তত বেশি কাজ করবে। যেমন ধরুন, সবজি কাটার ছুরিটি
দিয়ে যত বেশি কাটা কাটি করবেন ছুরিটি তত বেশি ধার হবে। মানুষের মস্তিষ্ক
একটি বিস্ময়কর ক্ষমতা, এই ক্ষমতা স্নায়ু নমনিয়তা হিসাবে পরিচিত হয়।
অধিকার উদ্দীপনার সঙ্গে আপনার মস্তিষ্ক নতুন স্নায়বিক পথ গঠন করে ও
উপস্থিত সংযোগ পরিবর্তন করে। এবং নতুন কোন শেখার বিষয় স্মৃতি আসে যখন নিজেই
পুর্ণনির্মাণ মস্তিষ্ক এর অবিশ্বাস্য ক্ষমতা অধিকারী হবেন। আপনি আপনার
জ্ঞানীয় ক্ষমতার বৃদ্ধিতে নতুন তথ্য জানতে পারেন যা স্নায়ু নমনিয়তা শক্তি
বৃদ্ধি করবে।
পাজল বা ওয়ার্ড: গবেষণায় দেখা যায় যাদের নিয়মিত পাজল
সমাধান, স্ক্রাবল, সুডোকো মেলানোর অভ্যাস রয়েছে তাদের মস্তিষ্ক অন্যদের
তুলনায় অনেক বেশি উন্নত। যখন খেলা হয় তখন মস্তিস্কের স্মৃতি এলাকাগুলো সহ
পুরো মস্তিস্কের সমস্ত স্নায়ুগুলো সক্রিয় হয় যা কিনা স্মৃতি বৃদ্ধিতে
সহায়তা করে এছাড়াও তাদের স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা জনিত সমস্যাও হয় না।
মিউজিক থেরাপি: গবেষণায় দেখে গেছে, ক্ল্যাসিক মিউজিক বা যেকোন নরম মেজাজের গান মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা বাড়ায়।
বই পড়া: বই পড়া হচ্ছে মস্তিষ্কের সবচাইতে ভালো
ব্যায়াম। বই পড়ার বিষয়টি মস্তিষ্কের স্নায়ু সচল রাখতে সহায়তা করে। এমনকি
খবরের কাগজ, ম্যাগাজিন যাই হোক না কেন অবসর সময়ে তা পড়ে নিলে মস্তিষ্কের
বেশ ভালো ব্যায়াম হয়। এতে করে স্মৃতিশক্তিও উন্নত হয়।
নতুন ভাষা শেখা ও লেখা: নতুন একটি ভাষা শেখা এবং লেখার
মাধ্যমে নিজের আত্মবিশ্বাস যেমন বাড়ে তেমনই কমে যায় স্মৃতিশক্তি দুর্বল
হওয়ার সম্ভাবনা। নতুন একটি ভাষা শেখা, বোঝা এবং প্রয়োগ করার মাধ্যমে
মস্তিষ্কের কর্মদক্ষতা বাড়ে যা স্মৃতিশক্তিকে দুর্বল হতে বাধা দেয়।